সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
একই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি। তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। জয়ের আশা জাগিয়েও লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই উইকেটের পরাজয়ে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল টাইগাররা।
বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। প্রথম ওভারেই তারা দুজন ১১ রান তোলেন। কিন্তু দলীয় ১৯ রানের মাথায় অভিষিক্ত আসিথা ফার্নান্দোর করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন সাব্বির। আসিথার বলে পুল শট খেলতে গিয়ে দেরি করে ফেলেন। বল তার ব্যাটে চুমু দিয়ে উইকেটরক্ষক কুশাল মেন্ডিসের গ্লাভসবন্দি হয়।
এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টস জিতেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায়। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
বাংলাদেশ দলে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের ম্যাচে খেলা নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন আজ নেই। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও পেসার এবাদত হোসেন। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাথিশা পাথিরানার পরিবর্তে একাদশে এসেছেন আসিথা ফার্নান্দো। আজ তার অভিষেক হয়েছে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের আফিফ ৪ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। আর মিরাজ ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়ে যান। এরপর সাকিবের ২৪, মাহমুদউল্লাহর ২৭ ও শেষদিকে ৯ বলে মোসাদ্দেকের করা ২৪ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায়। বল হাতে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪১ রানে ২টি ও চামিকা করুণারত্নে ৩২ রানে ২টি উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারেই ৪৪ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। হাত খুলে মারতে শুরু করেন নিসানকা ও কুশাল। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বল হাতে আসেন এবাদত। তৃতীয় বলেই সাফল্য পেয়ে যান অভিষিক্ত হওয়া এই পেসার। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন নিসানকা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২০ রান করে যান উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও কুশাল মেন্ডিসের ফিফটি ও দাসুন শানাকার ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৪ বল ও দুই উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় লঙ্কানরা।