সোনাগাজী প্রতিনিধি
সোনাগাজীর সুলাখালী ইসলামীয়া আরাবিয়া মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ ওমর ফারুক (১৪)। গত ২০ আগস্ট ক্লাশে পড়া না পারার কারণে ওই মাদরাসার মোহতামিম আবদুল আজিজ শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা, কিল, ঘুসি লাথি মেরে প্রচন্ড মারধর করে। শ্রেণি কক্ষে মারধর এর দৃশ্যটি অন্যান্য ছাত্ররা অবলোকন করে। ওই দিন বিকেল থেকে নির্যাতিত ছাত্রটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ছেলেটির বাড়ী নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার উত্তর আদর্শ গ্রামের আবদুল মতিন সওদাগর বাড়ীর একরাম হোসেন এর ছেলে।
উল্লেখ্য, ওই মোহতামিম আবদুল আজিজ হক বিগত সময়ে তার মাদরাসার বাদামতলীর এক ছাত্রকে কিল ঘুসি চড় থাপ্পড় মেরে কয়েকটি দাঁত ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছিলো।
জানাযায়, শিক্ষক হিসেবে আবদুল আজিজ খুব বদমেজাজী। তার বাড়ী ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলায়। বাড়ী থেকে ছুটি কাটিয়ে মাদরাসায় আসলে ওই দিন কোমলমতি শিশুদের পড়া না পারার অজুহাতে লাঠিপেটা কিল ঘুসি লাথি মেরে শাস্তি প্রদান করে। নিখোঁজ মোঃ ওমর ফারুককে তার গ্রামের বাড়ী, আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আসলে ছাত্রটির ভাগ্যে কি হয়েছিল এখন দেখার বিষয়। বিগত ২০/৮/২০২২ ইং তারিখে ছাত্রটি নিখোঁজ হলেও ৮ দিন পরে নিখোঁজ ডায়েরী করা হয় ! মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নিখোঁজ ছাত্রের চাচা মোঃ সোহেল উদ্দিন সোনাগাজী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করানো হয়।