গাজী মাসুদ রানা, ফেনী
ফেনীর পরশুরামে স্হায়ী ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন যাত্রা।এখন তারা কামাই রোজগার করে সন্ধ্যায় ঘরে এসে শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারছে।
বৃষ্টি নামলে চালার ফূটো দিয়ে পানি পড়ে ভাঙ্গা ঘরের আসবাবপত্র কাঁথা বালিশ ভিজে যাবে- সে চিন্তা আর নেই তাদের।অথচ কিছু দিন আগেও ঝড় বৃষ্টির আভাস পেলে আতঙ্কে থাকতেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জীবন ব্যবস্হা নিশ্চিন্ত করে দেয়ায় খুশিতে ভাসছেন তারা।আরামে ঘুমাতে পারছেন বলে নামাজের পর শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করছেন তারা।১ নং মির্জা নগর ইউনিয়নের খিলপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা ভেলু মিঞা বলেন ,”আমাদের একটি করে ঘর উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড়ই উপকার করেছেন ।
আমরা কখনো কল্পনা করিনি এমন পাকা ঘরে ঘুমাবো।জয়ন্তী নগরে রায়ত থাকতেন রুনি আক্তার। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ঘরে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ বেগমের চেষ্টায় দালান ঘরে ঘুমাচ্ছেন এখন তারা।
খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে রাজস পুর গ্রামের আরেক বাসিন্দ কোহিনুর বেগম বলেন, আমার কোন জমি ঘর ছিলোনা।একটা ঝুপড়িতে থাকতাম। বর্ষায় ঘরের চালের ছিদ্র দিয়ে পানিতে ভিজে যেত সব আসবাবপত্র। উপায় নেই বলেই ওই ঝুপড়িতে কোন রকম থাকতাম।এমন দালানের মালিক হবো এটা জীবনেও ভাবনায় আসেনি। একদিন হঠাৎ করে আমার ঘরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ বেগম এসে আমার ছবি ও এন আই ডি কার্ড নিয়ে যান।পরে আমি প্রধান মন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পাবো বলে জানান তিনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি পেয়েছে ভুমি ও গৃহহীন হাজার হাজার পরিবার। নিজস্ব ঠিকানা ও আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট্ট ছোট্ট গ্রামে রঙিন এসব ঘর শোভা পাচ্ছে।
গৃহহীন ভুমিহীন মানুষকে জায়গা সহ সেমিপাকা বাড়ী দেয়ায় তাদের ছেলে মেয়েরাও আনন্দিত। তারা বাড়িটাকে দেখছে জীবনের সেরা উপহার হিসেবে। সব আশ্রয়ন বাসীরই অনুভূতি একই। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারে পেয়ে তারা ভীষণ খুশি হয়েছেন। মুলত: ছিন্নমূল ভুমি হীন,গৃহহীন এবং দিনমজুরেরা এই ঘর পেয়েছেন। তাদের যে আনন্দ অনুভূতি তা না দেখলে বুঝা যাবেনা।