বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কেন ভারতের একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানালেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হচ্ছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে ভারতের প্রোটোকল বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রোটোকল অনুযায়ী সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছে।
সাউথ ব্লকে প্রোটোকল বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এমন নয় যে এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনায় কোনো ত্রুটি হয়েছে বা প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে না গিয়ে অতিথিকে কোনো অমর্যাদা করেছেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে যাননি বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।
তবে ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু সেসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ভারতের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে সেটা ছিল দিল্লিতে শেখ হাসিনার প্রথম সফর। তাই অন্যরকম একটা ব্যঞ্জনা ছিল বলেই প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গেলে দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে আসেননি।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পৌঁছায়।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে ছয় থেকে সাত সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়।
এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।