শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

আপডেট
৩৭ বিলিয়ন ডলারে নামল রিজার্ভ

৩৭ বিলিয়ন ডলারে নামল রিজার্ভ

চলমান ডলার সংকটের মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনশেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে, বুধবার যা ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১৭৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নেমেছে।

অবশ্য ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে জোগান দেওয়া অর্থ বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাব করলে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী, কেবল ব্যবহারযোগ্য অংশকেই রিজার্ভ হিসেবে দেখাতে হবে। সে অনুযায়ী, ইডিএফে জোগান দেওয়া ৬০০ কোটি ডলার, জিটিএফে ২০ কোটি, এলটিএফএফে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে দেওয়া ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার রিজার্ভে দেখানো হলেও তা ব্যবহারযোগ্য নয়।

এই ৬২৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের বাইরে কারেন্সি সোয়াপের আওতায় শ্রীলংকাকে দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার। আর ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রয়েছে, যা রিজার্ভ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই। করোনার মধ্যে তা বাড়তে বাড়তে গত বছরের আগস্টে ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। তবে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। গতকালও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ২৭৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বিক্রি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদরদপ্তর। এই ব্যবস্থায় সংশ্নিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |