বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
আজ থেকে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানে বিশেষ কার্যক্রম শুরু। তিন সপ্তাহের এ কর্মসূচিতে টিকার আওতায় আনা হবে প্রায় এক কোটি শিশুকে। দেশের ৪২৭টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানো হয়েছে, এখন তারা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টিকা পাওয়ার যোগ্য ৯৮ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর তথ্য দিয়েছিল। তবে বাস্তবে আরও বেশি হবে সংখ্যাটি। কারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, যেসব শিশু বিদ্যালয়ে আসে না, ভাসমান শিশুদের সংখ্যাটিও যোগ হবে। সে হিসাবে এক কোটির বেশি শিশু এই টিকা পাবে।’
শামসুল হক বলেন, দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। প্রথম ডোজ নেওয়ার আট সপ্তাহ পর নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। এর আগে গত ১১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেরে বাংলা নগরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। এরপর থেকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছিল এই টিকা।
বড়দের মতো শিশুদেরও এ টিকা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। টিকা কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গেলেই দেওয়া হবে টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১২ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি শিশু প্রথম ডোজ নিয়েছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৩ কোটি ২০ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ জন তৃতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন।