শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
বকশীগঞ্জে সরিষা চাষে প্রণোদনা পাবেন সাড়ে ৫ হাজার কৃষক

বকশীগঞ্জে সরিষা চাষে প্রণোদনা পাবেন সাড়ে ৫ হাজার কৃষক

মনিরুজ্জামান লিমন, বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে রোপা আমনের পর সরিষা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক । কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষা চাষের
ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলার সরিষা চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার আগাম বন্যার পর আগাম রোপা আমনের চাষ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর রোপা আমনের চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমনের ফলনও হয়েছে এবার ভাল। রোপা আমন চাষ শেষে স্থানীয় কৃষকরা সেই জমিতেই সরিষা চাষ শুরু করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে গত বছরের চেয়ে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সরিষা চাষে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ শুরু হয়েছে।

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৫ হাজার ৪০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হবে। এবছর ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরিষা চাষের আবাদে উদ্বদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কম খরচে ,স্বল্প খরচে কম পরিশ্রমে অর্থকরী ফসল পাওয়া যায় সরিষা চাষে। বিশেষ করে ভোজ্য তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন। যাতে করে কৃষক নিজের উৎপাদিত সরিষা দিয়েই ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে পারেন সে লক্ষ্য নিয়েই এবার সরিষা আবাদে নেমেছেন স্থানীয় চাষিরা। সরিষা চাষ শেষে আবার ওই জমিতে বোরো চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নিলু জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি চাষে ব্যাপক সরিষা চাষ উপযোগী এলাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই এলাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়। তাই এখানকার কৃষক লাভজনক এই চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিনি জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার ৫ হাজার ৪০০ কৃষককে সরিষা চাষে প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষককে বিনামূল্যে ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার ও ১ কেজি করে সরিষা বীজ বিতরণ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |