শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা: ছোটখাটো ভুল সংশোধনের এখতিয়ার উপজেলা, জেলা বা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হলেও তারা অনেক সময় এগুলো ঝুলিয়ে রাখেন। তাই এমন না করে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এ সংক্রান্ত মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
সভায় এনআইডি সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু্বিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর জানান যে, “ক” শ্রেণির সংশোধনসমূহ উপজেলা পর্যায়ে সম্পন্ন হয় যা, তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু “ক” শ্রেণিতে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা অনেক, যা কাম্য নয়।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায় যে, সকল শ্রেণিতেই অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা অনেক। “গ” ও “ঘ” শ্রেণির আবেদনসমূহের সংশোধনী তুলনামূলক জটিল হলেও “ক” ও “খ” শ্রেণির আবেদনসমূহ ততটা জটিল নয়। তিনি “ক” ও “খ” শ্রেণিতে নিষ্পন্ন সম্ভব নয় এমন আবেদনসমূহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করে দ্রুত সকল শ্রেণিতে অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ নিষ্পন্ন করার তাগিদ প্রদান করেন।
এদিকে অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডসমূহের বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। এতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু্বিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর জানান যে, অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডসমূহ কাগজের প্যাকেটে রক্ষিত থাকায় কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবিতরণকৃত কার্ডসমূহ রি-বক্সিং করার জন্য প্লাস্টিক প্যাকেট প্রদান করা প্রয়োজন।
বৈঠকে তিনি বলেন, অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডগুলো দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তৎসংগে যার আইডি কার্ড তাকে প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোক্রমেই একজনের আইডি কার্ড অন্য জনকে দেয়া যাবে না। আইডি কার্ড প্রদানের সময় ভোটারগণের বায়োমেট্রিক্স সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে আলোচনার পর সভাপতি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অবিতরণকৃত আইডি কার্ড বিতরণের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত দেন।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত স্মার্টকার্ড ছাপানো হয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ। বিতরণ হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ। আর অবিতরণকৃত কার্ড রয়েছে ৭২ লাখ।