শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট
চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে

চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে

রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর (মিয়ান আরেফি) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর।

আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ৫ দিনের রিমান্ডে

এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামের গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় মিয়ান আরেফি, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলনে এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়ান আরাফি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

সেখানে মিয়ান আরেফি তার বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি আরও দাবি করেন, মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

প্রতিদিনের কাগজ

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |