সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ইশতিয়াক আলী খান পান্না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। ভারতের মেঘালয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশি দূরে নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ভারত পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র আরও জানায়, ইশতিয়াক আলী খান পান্নার ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মেঘালয় পুলিশ বলেছে, গত ২৬ আগস্ট পূর্ব জৈন্তার পাহাড়ি গ্রাম ভোই থেকে পান্নার পচা অর্ধ-গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গ্রামটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পান্নার মরদেহের সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পান্নার দেহটি ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা নাকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কপালেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। ওই সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একাধিকবার এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের উপমন্ত্রী হলেও পান্না বরাবরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাইরে ছিলেন। তবে ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না। অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে। পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।