শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে। এর আগে আজ দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা যমুনায় প্রবেশ করেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছয় সংস্কার কমিশন ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে শুরু হচ্ছে এ সংলাপ। জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ সংলাপে অন্য উপদেষ্টারাও উপস্থিত থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের তৃতীয় দফা সংলাপ।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনে সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনে ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দিয়েছে। জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটায় বিএনপি, ৩টায় জামায়াত, সাড়ে ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকেল ৪টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাড়ে ৪টায় হেফাজতে ইসলাম, ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সাড়ে ৫টায় এবি পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায়।
সংলাপে কতগুলো দলকে ডাকা হয়েছে, তা গতকাল রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ডাক পায়নি আওয়ামী লীগ আমলে সরকারের সুরে কথা বলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। আবার হেফাজত রাজনৈতিক দল না হলেও আমন্ত্রণ পেয়েছে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত খেলাফত মজলিসের দুই অংশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং অনিবন্ধিত দলগুলোকে পৃথকভাবে ডাকা হয়নি। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন ও কমিশনপ্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। ১ অক্টোবর থেকে কমিশনগুলোর কাজ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতে কমিশনগুলোতে সদস্য নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার মতামত নেয়নি। এ কর্মপদ্ধতিকে কালক্ষেপণ বলে মনে করছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আমন্ত্রণ পাওয়া দলের নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনবেন। রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইবেন। সংলাপে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের (সিপিবি, বাসদ খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতন্ত্র মঞ্চের (জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, এবি পার্টির এএফএম সোলায়মান চৌধুরী নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেবেন।