বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
ফয়সাল হাওলাদার, নিজস্ব সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবস্থিত ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এমএ) মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ২৮ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে। ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ডিও লেটার (অভয়পত্র) ও ভুয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বেতন বন্ধ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও সাবেক সাংসদের দোসর অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা।
আবেদন অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল (এমএ) মাদরাসা। ১৯৯৫ সালের মে মাসে এমপিওভুক্ত হয়। বিএনপির আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধের ব্যবস্থা করেন সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী। সাবেক সাংসদ এবং শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ভুয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে তাঁদের বেতন-ভাতা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিক্সনের ওই পদক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দুই বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ২৮ শিক্ষক-কর্মচারী।
মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মৃধা বলেন, ‘আমরা নিক্সন চৌধুরী ও শহীদুল ইসলাম নামের এক প্রতারকের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কয়েক বছর মানবেতর জীবন যাপন করছি। মাদরাসাটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হওয়ায় এখনো কমিটি বহাল রয়েছে।
মাদরাসাটি পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীরা ২৩ মাস ধরে বেতন পান না। অথচ মাদরাসাটি একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে এবং আবু ইউসুফ মৃধাও কয়েকবার জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিধি মেনে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানকার ২৮ শিক্ষকের বেতন স্থগিত রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।