শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

দ্রুত চীনা নাগরিকদের সিরিয়া ছাড়ার পরামর্শ

দ্রুত চীনা নাগরিকদের সিরিয়া ছাড়ার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক: পরিস্থিতি বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের দ্রুত অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চীনা দূতাবাস।

গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কবার্তা জারি করে এই পরামর্শ দিয়েছে দামেস্কে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। সাধারণত সিরিয়ায় চীনা দূতাবাস নিয়মিতভাবে তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। তবে এই বার্তাটি দুই বছরের মধ্যে প্রথম দেয়া হল, এতে নিজ দেশের নাগরিকদের অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

চীনা নাগরিকরা সিরিয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন এমন আশঙ্কা করে দূতাবাস জানিয়েছে, চীনা নাগরিকরা এখনও চালু থাকা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে অথবা স্থলসীমান্ত বন্দর ব্যবহার করে দেশ ছাড়তে পারেন। তবে যারা সিরিয়ায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন বা সিরিয়ার কিছু অঞ্চল ছাড়বেন না বলে ঠিক করেছেন, তারা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন এবং তাদের ক্ষেত্রে সহায়তার কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে দূতাবাস।

এদিকে, সাউথ চায়না মনিটরিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম-এর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর দখলে চলে গেছে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর হামা। এর আগে বাণিজ্যিক নগরী আলেপ্পো দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। হায়াত তাহরির আল শাম এখন দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যা সংঘাতের মাত্রা গুরুতর করে তুলছে। অন্যান্য অঞ্চলেও সাম্প্রতিক সংঘাত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।

অন্যদিকে, চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে তারা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে ভয়াবহ যুদ্ধের পরে পশ্চিম-মধ্য সিরিয়ার শহর হামার বাইরে তার বাহিনীকে পুনরায় মোতায়েন করেছে। এর আগে নিশ্চিত করা হয়- একাধিক ফ্রন্ট থেকে তীব্র আক্রমণের পর বিদ্রোহীরা শহরে প্রবেশ করেছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অনুসারে, গত সপ্তাহে বিদ্রোহী আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১১১ জন বেসামরিক নাগরিকসহ সারাদেশে ৮২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। তবে এবারের লড়াই শুরু হওয়ার পর কোনো চীনা নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |