হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর: জুলাই আগষ্টে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে, দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন পাকিস্তানি সরকারের সাথে আতাত করে দেশ ছেড়ে স্ব-ইচ্ছায় তিনি পাকিস্তানে কারাবরন করেন। এসময় শহীদ জিয়ার ডাকে দেশের ৭ কোটি জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।
দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি বিজয় অর্জনের মাধ্যমে দেশের নতুন মানচিত্র অর্জন করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠ করেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। শহীদ জিয়ার ডাকে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশ এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব বিএনপির নেতাকর্মিসহ সকলের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও সক্রিয়। তাই সকলকে সজাগ থাকতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সকল নেতাকর্মিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তারেক জিয়া বলেছেন বিএনপিতে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই।
দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে তার বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় কেশবপুরের সাবদিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির এক কর্মি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ একথা বলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধায় কেশবপুর পৌর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মি ও পরিচিতি সভায় সভাপত্বি করেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সোহবার হোসেন। । এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়ার আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাড, বদরুজ্জামান মিন্টু, পৌর বিএনপির সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর কুতুব উদ্দীন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরি, চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক দবির উদ্দীন ও একরাম হোসেন প্রমুখ।