শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

সবচেয়ে বড় পাপ কী?

মাও: খলিলুর রহমান মিছবাহ:

আমরা মুসলমান। আমরা সবসময় চেষ্টা করি গোনাহমুক্ত জীবন গড়তে। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় কখনো কখনো আমরা বিভিন্ন গোনাহে লিপ্ত হই। এরপর আবার আমরা তাওবা করে ফিরে আসি। কিন্তু কিছু গোনাহ আছে, যেগুলোর ব্যাপারে পবিত্র কুরআন-হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় গোনাহ ও পাপ হলো- শিরক। পৃথিবীতে যত পাপ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা। পৃথিবীতে শিরকের চেয়ে জঘন্য আর গোনাহ নেই। যে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ ছাড়া আমাদের একটি মুহূর্তও কাটে না, কাউকে তাঁর সমকক্ষ, সমতুল্য বা সমমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? তাই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৪৮)
এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, সবচেয়ে বড় গোনাহ কোনটি? তিনি বলেন, তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস)
আল্লাহর সাথে শিরক করার অর্থ আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্য কারো ইবাদত করা। তাঁর দাসত্বের স্বীকৃতির পাশাপাশি অন্য কারো দাসত্বও মেনে নেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করো না।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৩৬)
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, আমাকে শুধু আদেশ দেয়া হয়েছে, যেন আমি আল্লাহর ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে শরিক না করি।’ (সূরা আর-রাদ, আয়াত : ৩৬)
আরেক আয়াতে তিনি বলেন, ‘সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরিক না করে।’ (সূরা আল-কাহাফ, আয়াত : ১১০)
শিরক যে সবচেয়ে বড় জুলুম ও নিকৃষ্টতম পাপ তা কতভাবেই না আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর স্মরণ করো, যখন লুকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিল, প্রিয় বৎস, আল্লাহর সাথে শিরক করো না; নিশ্চয়ই শিরক হলো বড় জুলুম।’ (সূরা লুকমান, আয়াত : ১৩

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |