বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক থাকার কারণে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। এসময় তিনি অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্য বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।
ওবায়দুল কাদের জানান, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯.৪ শতাংশ, জার্মানিতে ৮.৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৫.৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ২১.৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে জুন মাসে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। কিন্তু দেশের মধ্যে অনেকে আছে যারা মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে। প্রকৃতপক্ষে করোনা ভাইরাস মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।
সেতুমন্ত্রী জানান, বিশ্বের প্রায় নব্বই শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই মূহুর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার। তিনি আরও জানান, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেক উন্নত দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি এবং উৎপাদন ব্যবস্থায়।