মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার হাজতখানা থেকে উদ্ধার সুমন শেখ রুম্মনের মরদেহ অবশেষে গ্রহণ করেছে পরিবার।
সোমবার বেলা ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে তিনদিন ধরে মরদেহ পাহারা দিচ্ছিল পুলিশ। সুমনের পরিবার এতদিন ধরে মামলা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সবশেষ আজ সোমবারও আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেষ্টা করছিলেন বলে জানান জান্নাত।
এ বিষয়ে আজ দুপুর দেড়টার দিকেও সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তার বলেন, ‘লাশ তো নেব, আগে সমাধান হোক।’
সুমনের স্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ডেকেছে সমাধানের জন্য। আওয়ামী লীগের নেতারাও বলছে লাশ নিতে। কী করব সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
তিনদিন ধরে সুমনের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আলোচনা চালায় পুলিশ।
লাশ গ্রহণের আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার আজিমুল হক বলেছিলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার নিহতের পরিবারকে লাশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আসব-আসছি বলছেন, কিন্তু আর আসছেন না। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
সুমনের পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কয়েকজন নেতার মধ্যস্থতায় লাশ গ্রহণের বিষয়টি সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে পরিবার মরদেহ গ্রহণের আগে বিক্ষোভ বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় রামপুরা-বাড্ডা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে। সোমবার দুপুরে এ সড়কের পলাশবাগ অংশে এমজি টাওয়ারের সামনে দেখা গেছে, অন্তত ১০ জন পুলিশের একটি দল নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এসআই সুমন ও এএসআই দানা মিয়া।
সুমন শেখের মৃত্যুর বিচার দাবিতে এই স্থানেই রবিবার রাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজধানীর মহানগর প্রজেক্ট এলাকার ঝিলকাননে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে সুমন শেখকে আটক করে পেটাতে পেটাতে পুলিশ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার বিকালে তার পরিবারকে বলা হয়, সুমন থানার হাজতে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর থানার সামনে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেন সুমনের স্বজন ও এলাকাবাসী।