শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

যত কোটি টাকার মালিক ছাগলকাণ্ডের মতিউর ও তার পরিবার

যত কোটি টাকার মালিক ছাগলকাণ্ডের মতিউর ও তার পরিবার

নিউজ ডেস্ক: ‘ছাগল–কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ যাবত ১৪৩ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপি।

সবশেষ মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলাগুলোর এজাহার থেকে জানা গেছে, মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজ ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। অন্যদিকে মতিউর রহমানের সহযোগী তার মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ গোপন ও ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। আর তৃতীয় মামলায় প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও মতিউরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ১২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুই মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম মামলায় এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন সাবেক এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এ নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। এরপর মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য বাইরে আসে। পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |