যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলপন্থিদের বিদ্বেষ কিছুতেই থামছে না। এবার দেশটির কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ইসরাইলপন্থি একটি বিক্ষোভে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। রোববার (১ জুন) স্থানীয় সময় দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেল বলেন, ‘আমরা কলোরাডোর বোল্ডারে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে অবগত এবং ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছি।’
রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত একদল লোকের দিকে এক ব্যক্তি ঘরে তৈরি মলোটভ ককটেল (পেট্রোল বোমা) সদৃশ কিছু ছুড়ে মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত একদল লোকের দিকে ঘরোয়াভাবে তৈরি পেট্রল বোমা সদৃশ কিছু ছুড়ে মারেন এক ব্যক্তি।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ে জামা না থাকা এক ব্যক্তি দুই হাতে স্বচ্ছ স্প্রে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর তার সামনে ঘাসে আগুন জ্বলছে।
ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘জায়নবাদীরা নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘তারা খুনি’।
বোল্ডার পুলিশপ্রধান স্টিভ রেডফার্নকে এই হামলা সন্ত্রাসী হামলা ছিল কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। বোল্ডার পুলিশপ্রধান স্টিভ রেডফার্ন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর একাধিক আহত ব্যক্তিকে দেখতে পাই, যাদের শরীরে আগুনে পোড়া ও অন্যান্য ধরনের জখমের চিহ্ন ছিল।’
স্টিভ রেডফার্ন আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই সন্দেহভাজনের মুখোমুখি হয়। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই তাকে আটক করা হয়।
আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে অন্তত একজন গুরুতর বলে এফবিআই জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :