গুলিতে নিহত বিএনপি কর্মীর শরীরে ১০ আঘাত, কিলিং মিশনে ছিল ছয় জন

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

ছবি- কোলাজ প্রতিদিনের কাগজ।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নিহত বিএনপি কর্মী আবদুল হাকিমের (৫২) শরীরে ১০টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে এসব আঘাতের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে সবগুলো আঘাত গুলিবিদ্ধ কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, হামলায় অংশ নেয় তিনটি মোটরসাইকেলে আসা ছয়জন মুখোশধারী যুবক। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুজন করে ছিল।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের মদুনাঘাট বাজারের ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্পের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল হাকিম ওই সময় রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারে করে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ফিরছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুখোশধারী কয়েকজন তার গাড়ি থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। একাধিক গুলি প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেদ করে হাকিমের শরীরে লাগে। এ সময় গাড়ির ভেতরে থাকা আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুজনকেই উদ্ধার করে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, নিহতের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ।

এদিকে আবদুল হাকিম নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাউজান উপজেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম–কাপ্তাই ও চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ তালুকদার বলেন, ‘আবদুল হাকিমের বিএনপিতে কোনো পদ না থাকলেও তিনি নিয়মিত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মিছিল–মিটিংয়ে অংশ নিতেন। রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

রাউজান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, ‘আবদুল হাকিম ছিলেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী ও ব্যবসায়ী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় মুখোশধারী কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে এসে হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

Link copied!