শটগান, ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৯ এএম

সংগৃহীত ছবি

ফেনীর সোনাগাজীতে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, শটগান ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে অযোগ্যতা বিবেচনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) সৈয়দ মুমিদ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়। তাদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তারে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহেদুল ইসলাম রিপন, তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিশু।

অন্যদিকে গ্রেপ্তার আসামিদের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসিয়েছে। পুলিশকে হামলায় অভিযুক্ত রিপনের বোন রোকসানা আক্তার বলেন, আমার ভাই (রিপন) ডাকাত নন, নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেদিন পৃথক ঘরে আমার দুই ভাই, বৃদ্ধ মা, বোন ও ভাবি ছিলেন। তারা ছয়জন অস্ত্রধারী পুলিশের ওপর কীভাবে হামলা করবে? ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোনাগাজী মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ সদস্যরা কতটুকু আহত ছিলেন এমন প্রশ্নে ডা. তৌহিদুল বলেন, গুরুতর কিছু ছিল না, হাতাহাতি হয়েছে এমনটা। এজন্য তারা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে গেছে।

সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ওসি সাইফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মারামারি, চাঁদাবাজিসহ অস্ত্র আইনে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর সার্কেল কর্মকর্তা ও আমিসহ ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাদের বাড়িতে ছিলাম। আমরা আসামি ধরার পর ফেনী থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এসেছিল।

ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা আসামি ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো শটগান ও ওয়াকিটকি ফেলে চলে আসেন। এটি ব্যর্থতা, তাদের এ দায় নিতে হবে।

Link copied!