হংকংয়ের ফুটবলারদের বাংলাদেশে পুরোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা

স্পোর্টস ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আসা হংকংয়ের ফুটবলাররা পুরোনো অভিজ্ঞতার কথা জেনে এসেছেন। বর্তমান ফুটবলাররা ঢাকায় আসার আগে হংকংয়ের সাবেক ফুটবলার যারা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের কাছ থেকে গল্প শুনেছেন। সেই গল্পের কথা প্রকাশ করেছে হংকংয়ের সংবাদমাধ্যম। 

শেষবার যখন হংকং বাংলাদেশে এশিয়ান কাপ ফুটবল খেলতে এসেছিল, তখন তাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো ছিল না। সেই দলের একজন ফুটবলার হংকংয়ের সংবাদমাধ্যমে তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন এভাবে। বিমানবন্দরে নেমে দেখেছেন তাদের জন্য কোনো বাস নেই। খেলোয়াড়দের হোটেলে বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাস আসেনি। কয়েক ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর জানা গেছে সেই বাস ট্র্যাফিক জ্যামে পড়েছিল। ২০০৬ সালের ঘটনা এটি। 

হংকং এসেছিল ঢাকায়। ১৯ বছর আগের সেই ঘটনা হংকং সংবাদমাধ্যমের কাছে সাবেক ফুটবলার ৪৭ বছর বয়সী জেরার্ড আম্বাসা বর্ণনা করেছেন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের পত্রিকায়। এখন তিনি একটি ক্লাবের কোচ হয়ে কাজ করছেন। হংকংয়ের সেই আম্বাসার কথা নাকি ঢাকায় আসা এখনকার ফুটবলাররাও কেউ কেউ জানেন। আম্বাসা বলেন, 'বাস আসবে না। তাই বলে ছোট ছোট (মশা) পোকা কামড়াবে কেন। পোকায় ভরা ছিল বাস। মিনি বাসের মতো একটা গাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সবার জায়গাও হচ্ছিল না।' 

খাওয়া-দাওয়া নিয়েও কথা বলেছেন আম্বাসা। শুধু কি তা-ই! হংকং ফুটবলারদের রাখা হয়েছিল এমন একটি হোটেলে, যেখানে রাতে বাজার বসে। ধারণা করা হচ্ছে, কাওরান বাজারের আশপাশ এলাকায় ছিল তাদের হোটেল। আম্বাসা বলেন, 'রাতে তরকারি বিক্রি হতো। নানা জায়গা থেকে গাড়ি এসে পণ্য নামায়। তখন মূল সড়কে জ্যাম লেগে যায়, হর্ন বাজায়। শব্দে ঘুম হওয়া কঠিন ছিল।'

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সেবার ঢাকার মাঠে বাংলাদেশ ০-১ গোলে হেরেছিল হংকংয়ের বিপক্ষে। নভেম্বর ফিরতি ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। গোল দুটি করেছিলেন ডিফেন্ডার আম্বাসা। সংবাদমাধ্যমটিকে অ্যাম্বাসা বলেন, 'খাওয়া-দাওয়াও ভালো ছিল না। প্রথম দিন ঢাকায় পৌঁছে রাতে যে খাবার দিয়েছিল, সেটা দেখে তো আমরা অবাক। মাংসের তরকারিতে ছিল মুরগির পা। পরদিন যখন সব বিষয় আমরা জানিয়েছি। তখন কিছুটা উন্নতি হলো। আমরা তখনো বুঝিনি কেন এমনটি হবে। একটি দলকে যেভাবে রিসিভ করা হয়, সেটি ছিল না। অবশ্য আমি এসব নিয়ে নিজে কিছু মনে করিনি। কারণ এসব দেখার অভিজজ্ঞতা আমার আছে। আমার জন্ম ক্যামেরুনে। অনেক কিছু দেখেছি সেখানে। আমি আশা করবো এখন যারা বাংলাদেশে খেলতে যাচ্ছেন, তারা অনেক বেশি উন্নতির ছোঁয়া দেখবেন। আমাদের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতা হবে না।'

Link copied!