ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা। দেশের প্রধান বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার পর নিরাপত্তার কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। আট নম্বর গেটের আশপাশের উড়োজাহাজগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা কুয়ালালামপুরগামী বাটিক এয়ারের ফ্লাইট এবং মুম্বাইগামী ইন্ডিগো ফ্লাইট ট্যাক্সিওয়েতে আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে থাকা শত শত যাত্রী অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে ট্রানজিট যাত্রীরা সময়মতো পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েন। অনেকে আবার শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ভোগান্তিতে পড়েন।

ভোগান্তির মাত্রা বোঝাতে বেবিচক সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে দুবাইগামী এমিরেটস এয়ারলাইনস ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটটি শিডিউল বিপর্যয় হওয়ায় আট ঘণ্টা পিছিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে সেটি রাত ৩টায় রিশিডিউল করা হয়, যার ফলে অনেক যাত্রী বিমানবন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য অনুযায়ী, বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ড বন্ধ থাকায় অন্তত ১৩টি উড়োজাহাজ ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। এই ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প রুটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং তিনটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বাকি দুটি ফ্লাইটের মধ্যে একটি কলকাতা ও অপরটি করাচি বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করে নামানো হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অগ্নিনির্বাপণ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও ফ্লাইট শিডিউল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। শত শত যাত্রী অপেক্ষায় রয়েছেন–কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং কখন বিমান আবার ডানা মেলবে গন্তব্যের উদ্দেশে।

ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বিজিবি যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Link copied!