রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতারা বিচ্ছিন্নভাবে অবৈধ কর্মসূচি পালন করেছেন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার পরও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতারা ঢাকায় এসে অংশগ্রহণ করেন।
ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের নেতৃত্বে কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ও চসিকের সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটুর ছবি সহ ব্যানার প্রদর্শন করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সমালোচনা জন্মায়।
নেতারা ঢাকার বায়তুল মোকাররম, গাবতলী, বনানী ও মতিঝিল এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ সময় সরকারের সমালোচনা এবং দলীয় পতাকা বহন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকলেও বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি গোপনে দলীয় পুনর্গঠনের চেষ্টা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এদিকে, ত্রিশাল উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক চাপ এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচি প্রভাবিত হতে পারে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে রাজধানীতে হঠাৎ মিছিল করার চেষ্টা করা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ-আলমামুন বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযান চলবে। ইতিপূর্বে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :