স্নাতক (পাস ও অনার্স) বা সমমান শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি নিশ্চিত করতে এই সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে ৭ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্নাতক বা সমমান শ্রেণিতে ভর্তি করা বা অধ্যয়নরত প্রথম বর্ষের অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৫–২৬ অর্থবছরে এই ভর্তিসহায়তা দেওয়া হবে। ‘ভর্তিসহায়তা প্রদান নির্দেশিকা ২০২০’ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে।
ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে ভর্তিসহায়তা সেবা বক্স থেকে নির্ধারিত প্রত্যয়ন ফরম ডাউনলোড করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ নিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার সময় এই ফরম আপলোড করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম খুঁজে না পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে নিজস্ব প্যাডে ইআইআইএনসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, ধানমন্ডি, ঢাকা–১২০৯’ বরাবর আবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ১৩–২০ গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে অফিসপ্রধান কর্তৃক প্রদত্ত বেতনগ্রেড–সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র আপলোড করতে হবে। অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য পিতা/মাতা/অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম—এমন প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের সন্তান, এতিম, ভূমিহীন বা নদীভাঙন–আক্রান্ত পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ পরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের জন্য প্রমাণপত্র অবশ্যই আপলোড করতে হবে। পাশাপাশি সর্বশেষ উত্তীর্ণ পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্রের স্ক্যান কপিও যুক্ত করতে হবে।
ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই শিক্ষার্থী বা তার পিতা–মাতার হতে হবে। হিসাবের প্রমাণ হিসেবে চেকের পাতার ছবি বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আর মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে সচল অ্যাকাউন্টের KYC–সংক্রান্ত হার্ডকপি আপলোড করতে হবে। পিতা–মাতা না থাকলে আইনগত অভিভাবকের অ্যাকাউন্ট নম্বর গ্রহণযোগ্য হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় কোনো হার্ডকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত লিংক বা ই–ভর্তিসহায়তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :