গাজী রুবেল: বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সোনালি “আউশ” ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক। মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাঁসির ঝিলিক। মাঠের ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আউশ ধানের স্বপ্নে যেন বিভোর তারা। এখন সোনালি আউশ ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি আউশ মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। তাই প্রতিটি কৃষক পরিবার খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে এসে দেখা যায়, মঙ্গলবার উপজেলার ধান্যদৌল, কল্পবাস, ডগ্রাপাড়া, মহালক্ষীপাড়াসহ উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা আউশ ধান কাটতে শুরু করেছেন। অনেকে ধান শুকাতে ব্যস্ত। ধানের ভারে নুয়ে পড়েছে শীষগুলো। আউশ ধানে যেন সোনার রূপ। যার আলোয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কৃষকের মুখ। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত প্রতিটি কৃষক। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চলছে তাদের ধান কাটার মহাধুম। প্রতিটি ক্ষেতে যেন ফুটে উঠেছে সোনালী রঙ।
সোনালী রঙে রাঙ্গিয়ে তুলেছে মাঠের পর মাঠ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ৪ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়। যার মধ্যে হাইব্রীড জাতের ধান ১৪০ হেক্টর এবং উফশী জাতের ধান ৪হাজার ৫শত ৬০ হেক্টর আবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন চাল। অনুকুল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির কারণে চলতি মৌসুমে অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
উপজেলার কল্পবাস গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া বাজারে ধানের দামও বেশী। ভালো ফলন পেয়ে আমরা খুব খুশী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহবুবুল হাসান বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদেরকে ভর্তুকি, বিনামূল্য বীজ, সার ও প্রণোদনা দেওয়ায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। আউশে সেচ, সার ও শ্রম কম খরচ হয়। বাজারে ধানের দাম ভাল। এভাবে ধানের দাম থাকলে উপজেলার কৃষকগণ অনেক লাভবান হবেন।