শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

আপডেট

দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের !

পবিত্র মাহে রমজান আসতে আর বেশি দিন নেই। এরই মধ্যে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। সাপ্তাহের ব্যবধানে শুকনো মরিচ কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। বাজারে গুঁড়ো ডানো দুধ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের তুলনায় ৭০ টাকা বেশি দামে। দোকানীরা গত সপ্তাহে ৮৮০ টাকায় ১ কেজি ডানো গুঁড়ো দুধ বিক্রি করলেও এই সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৯৫০ টাকা। গত সপ্তাহে ১২৫০ টাকায় ১ কেজি ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন কিনতে লাগছে ১৪০০ টাকা। ১৮০ টাকা কেজি দরের দেশি আদা এই সপ্তাহে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চিনির বাজারও উত্তপ্ত রয়েছে। এখনই প্রতি কেজি ১২০ টাকার নিচে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়বে পাঁচ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২ শতাংশ বেশি।

ক্রেতাদের দাবি, বাজারে এখন সব জিনিসের দাম চড়া। এখন প্রতি কেজি দেশি আদা ২০০ টাকায় ঠেকেছে। রসুনের দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা। টিসিবি বলছে, গত বছর একই সময়ে দেশে আদার দাম মানভেদে ৫০-১১০ শতাংশ, রসুনের দাম ৪৫-১২৭ শতাংশ এবং শুকনো মরিচের দাম ৭৫-১৫২ শতাংশ কম ছিল।

এদিকে বাজারে ফের সরু চালের দাম বেড়েছে। বাজারভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের বিআর২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। আর মোটা চাল ৫৪-৫৫ টাকা কেজি।

স্বস্তি নেই শীতের সবজিতেও। প্রায় প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ৫-১০ টাকা বেশিতে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়নি। এক কেজি বেগুন কিনতে লাগছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মুলার কেজিও এখনও ৩৫ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০, শসা ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ৩০ থেকে ৫০, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |