শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
পঞ্চগড়ে সুপারি চাষে লাভবান হয়ে কৃষকরা আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন

পঞ্চগড়ে সুপারি চাষে লাভবান হয়ে কৃষকরা আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন

পঞ্চগড়ে সুপারি চাষে লাভবান হয়ে কৃষকরা আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন

মোঃ বেলায়েত হোসেন বাবু, রংপুর :

পঞ্চগড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সুপারি চাষ। বিগত কয়েক বছর যাবত এই জেলায় ব্যাপক পরিমানে সুপারির চাষ করা হচ্ছে। এর চাষে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। এই জেলা থেকে বছরে প্রায় ৩০ কোটি টাকার সুপারির কেনাবেচা হয়ে থাকে। জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার উপজেলাগুলোর প্রায় সবগুলো গ্রামেই কম বেশি সুপারির চাষ করা হচ্ছে। কৃষকরা বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে সারি সারি সুপারি গাছ লাগিয়েছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা চা চাষের পাশাপাশি মিশ্র চাষ হিসেবে চায়ের সাথে সুপারিরও চাষ করছেন। বছরের চৈত্র-বৈশাখ মাসে কৃষকরা সুপারি সংগ্রহ করতে পারেন। এখানকার উৎপাদিত সুপারির বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে কৃষকরা বাজারে বেশ ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন। উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ব্যাপকহারে সুপারির কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতিপণ সুপারি ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন পর দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের উৎপাদন, এই অঞ্চলের সুপারির আকার ও স্বাদের কারণে দিন দিন কদর বাড়ছে। এখানকার তরুণদের মধ্যে অনেকেই সুপারি চাষে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন আবার অনেকেই ক্ষুদ্রভাবে এর ব্যবসা শুরেু করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকাররা এখান থেকে সুপারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কালান্দিগঞ্জ এলাকার মোতাচ্ছিম বিল্লাহ বলেন, আমার ৩০০টি সুপারি গাছ রয়েছে। এর চাষে তেমন খরচ নেই। আর খুব অল্প পরির্যাতেই ভাল ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বছরের মতো এবছরও ভাল ফলন পেয়েছি। এই গাছ গুলো থেকে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারি। স্থানীয় রুবেল মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশে ২০-২৫টি গাছ রয়েছে। সুপারি বিক্রি করে বছরে বেশ ভাল টাকা আয় করতে পারি। এতে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচ হয়ে যায়। আমি আরো চারা লাগানোর পরিকল্পনা করছি।

সুপারি ব্যবসায়ী আবির হোসেন ও রবিউল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের সুপারির বেশ চাহিদা থাকায় যশোর, ঢাকা, কুমিল্লা, সৈয়দপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা সুপারি কিনতে আসেন। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে বড় আকারের সুপারি ২৫০-২৮০ টাকা এবং মাঝারি আকারের সুপারি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, চলতি বছর পঞ্চগড় জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। বছরে এ জেলায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা সুপারি বেচাকেনা হয়। ফলে সুপারি জেলা ও দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। সুপারির আবাদ বৃদ্ধিতে আমরা কৃষকদেরকে উৎসাহিত করছি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |