শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিতহবে রামগড় স্থলবন্দর

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিতহবে রামগড় স্থলবন্দর

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিতহবে রামগড় স্থলবন্দর

চট্টগ্রাম ব্যুরো : রামগড় স্থলবন্দর দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় বেনাপোলের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে। চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল যেতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু রামগড় চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি রপ্তানি হয় তা আরও কম সময়ে ও খরচে আমদানি করা সম্ভব হবে।

যা অর্থনৈতিক বিবেচনায় সারা দেশের জন্য ইতিবাচক। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরের মত সুফল কাজে লাগাতে রামগড় অধিক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মীরসরাই-ফটিকছড়ি সহ উত্তর চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১। যা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে রামগড়কে সংযুক্ত করেছে। তাছাড়া বন্দর চালু হলে রামগড় থেকে ভারতের ওপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদী-মৌলভীবাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটে যাতায়াতের সুবিধা পাবে চট্টগ্রামবাসী।এদিকে,আজ (২৪ মে) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বারৈয়ারহাট-হেয়াঁকো রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণের কাজ। যা রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে। এ প্রকল্পে থাকবে ২৪৯.২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি ব্রীজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি সেতু। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

এছাড়া সড়ক নির্মিত হলে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি থেকে বিভিন্ন পন্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে আরও সময় কম লাগবে।সংবাদ সম্মেলনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |