শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেলো পাকিস্তান। বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে কিউইদেরকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে হারিয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেনি কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি। আফ্রিদির করা প্রথম বলটি লং-অন দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান ফিন অ্যালান। পরের বলটিই লেগে যায় প্যাডে। আঙুল তুলে আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান অ্যালেন। পরের ওভারে বলে আবারও এলবির ফাঁদে ফেলেন আফ্রিদি। এবার আর রিভিউ নিয়ে রক্ষা পাননি অ্যালেন। ৪ রানেই ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। কিন্তু সেটাকে স্থায়ী হলো না। রান আউটে কাটা পড়লেন কনওয়ে। ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, ২০ বলে ২১ করে ফেরেন কনওয়ে। জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা না সামলাতেই ফের হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের বড় ব্যাটার গ্লেন ফিলিপসকে তুলে নেয় নেওয়াজ। ৮ বলে আজ ৬ রান করে বিদায় নেন ফিলিপস।
৪৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ কাটাতে প্রতিরোধ গড়েন উইলিয়ামসন। মিচেলের সঙ্গে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। এই জুটিতে মূলত লড়াইয়ের ভিত গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৭তম ওভারে ফের বল হাতে এসে এই জুটি ভাঙেন আফ্রিদি। তুলে নেন কিউই অধিনায়ককে। ৪২ বলে ৪৬ করে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন।
অধিনায়ক ফিরলে শেষ দিকে বাকিদের নিয়ে দলকে মোটামুটি লড়াই করার সংগ্রহ এনে দেন মিচেল। এবার এই ১৫২ রান টপকে যেতে পারলেই বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকেট পেতে পারে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট। ১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ফেলে দেন ডেভন কনওয়ে। পুরো ম্যাচজুড়েই কিউইরা ফিল্ডিং ভালো করতে পারেনি।
জীবন পাওয়ার পর ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় পাকিস্তান। ১৩তম ওভারে বাবর আজম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৭ চারে ৪২ বলে ৫৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন বারব। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪৩ বলে ৫৭ রান করে তিনিও শিকার হন বোল্টের বলে। কিন্তু এই দুজনের বিদায়েও জিততে তেমন সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ২৬ বলে ৩০ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। সুপার টুয়েলভ পর্বে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে সেমির সমীকরণ কঠিন করে ফেলা পাকিস্তানই পৌঁছে গেল ফাইনালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৫২/৪ (অ্যালেন ৪, কনওয়ে ২১, উইলিয়ামসন ৪৬, ফিলিপস ৬, মিচেল ৫৩, নিশাম ১৬; আফ্রিদি ৪-০-২৪-২, নেওয়াজ ২-০-১২-১, শাদাব ৪-০-৩৩-০, হারিস ৪-০-৩২-০, নাসিম ৪-০-৩০-০)।
পাকিস্তান : ১৮.১ ওভারে ১৫৩/৩(বাবর ৫৩, রিজওয়ান ৫৭, হারিস ৩০, শান মাসুদ ৩, ইফতেকার ০ ; ইশ শোধি ৪-০-২৬-০, বোল্ট ৪-০-৩৩-২, সাউদি ৩.১-০-২৪-০, স্যান্টনার ৪-০-২৬-১, ফার্গুসন ৪-০-৩৭-০)।
ফল : ৭ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ রিজওয়ান।