শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: পূর্ব কিউবায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে হারিকেন অস্কার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানার আগেই গত তিনদিন ধরে দেশটি বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে। খবর বিবিসি গত শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দেশটির প্রধান বিদ্যুত প্লান্টে সমস্যা দেখা দিলে ১ কোটি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে শনিবার থেকে কিছু কিছু এলাকায় আবার বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে। এর আগেও দেশটিতে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দিয়েছিল দেশটির জ্বালানি ও খনি মন্ত্রী ভিসেন্টে দে লা ও লেভি বলেন, সোমবার রাতেই অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা যাবে এবং মঙ্গলবারের মধ্যে সব গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবে। এই অবস্থার মধ্যে কিউবাকে ক্যাটাগরি-১ এর একটি হারিকেন স্থানীয় সময় ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বারাকো শহরে আড়ছে পড়েছে। এর ফলে পূর্বাঞ্চলে মার্টি ধব এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কয়েকদিন ধরে অনেকের বাসা ফ্যান এবং এয়ার কন্ডিশন বন্ধ রয়েছে। ফ্রিজে থাকা খাবার পচতে শুরু করেছে। অনেক পরিবার কাঠ দিয়ে রান্না চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুত না থাকায় ইলেকট্রিক পানির পাম্প দিয়ে পানি উঠানো যাচ্ছে না। ফলে অনেক বাড়িতে পানি নেই। ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে অনেকে হতাশ পড়ে পড়েছেন। ধৈর্য্য ধারণ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি আরও সংকট হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়েও আতঙ্ক বাড়ছে। এ অবস্থায় ঝড়ের আঘাত পরিস্থিতিতে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। কারণ হারিকেনের আঘাতে কিউবাতে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল শনিবার বলেন, হারিকেন অস্কারের আঘাত থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপের বাসিন্দা এবং অর্থনৈতিক সম্পদ রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্চে। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা সম্ভব হচ্ছে না। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্স পোস্টে বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে কোনো ব্ল্যাকআউট থাকবে না। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র চাইলে কিউবার জনগনের পাশে দাঁড়াতে পারে।