বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
ইসরায়েলের হামলা সফলভাবে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানের আশেপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খবর বার্তা সংস্থা ইরনার। একাধিক ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের ওপর দিয়ে এন্টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং সেগুলো ধেয়ে আসা প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে আরও দেখা যাচ্ছে, তেহরানের আকাশে একের পর এক আলোর ঝলকানি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিসাইলগুলো ধেয়ে আসা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আঘাত করার ফলে সেগুলো মাঝ আকাশেই বিষ্ফোরিত হয়েছে। আর একারণেই দেখা গেছে আলোর ঝলকানি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অন্তত সাতটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। তেহরানে বিস্ফোরণের খবরের পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাতে তেহরান ঘিরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এসব শব্দ তৈরি হয়েছে মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার কারণে। এর আগে, ইরানের একাধিক সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করে ইসরায়েল। গত ১ অক্টোবর ইরান ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলে নিক্ষেপ করেছিল। তারই প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানের হামলার প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল তেল আবিব। তবে ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনায় সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।