বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এতে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকল। বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকায় এ মামলায় তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। গত ৮ আগস্ট সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে গত ১১ মে এ মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এদিন সব মামলায় জামিন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।
গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। গত ২৪ মে সম্রাট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।