বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানরা। তারা রানিকে মহৎ এবং উদারতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রানির প্রয়াণে সবার প্রথমে শ্রদ্ধা জানিয়ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি রানিকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী আখ্যা দিয়ে ফ্রান্সের একজন বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন রানির চেয়েও অনেক বেশি কিছু। তিনি একটি যুগের নির্ধারক ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইনের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
যুক্তরাজ্য সফরের কথা উল্লেখ করে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি (রানি এলিজাবেথ) আমাদের মুগ্ধ করতেন। তার উদারতা দিয়ে আমাদের সবসময় এগিয়ে যেতে সাহাস্য করতেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মতো কেউ ছিল না হতেও পারবে না। তিনি ছিলেন আমার পছন্দের মানুষদের মধ্যে অন্যতম। আমি তাকে সব সময় মিস করব।
কানাডার প্রথানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে রানি
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমা বলেন, তিনি (রানি) ছিলেন জ্ঞানী একজন শাসক। তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাথিলডি বলেন, দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্য সফরকালে রানির সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে শোক জানিয়েছেন।
বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
এদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এর মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান (ইইউ) কমিশনের সদর দপ্তরও আছে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার ক্ষমতা এবং ঐতিহ্য বজায় রাখা ছিল রানির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সত্যিকারের নেতৃত্বের উদাহরণ ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডানের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও শ্রদ্ধা জানিয়ে এক শোক বার্তায় বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পরে জার্মান-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এছাড়া রানির মৃতু্যতে সৌদি আরবের রাজা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শোক প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি