সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

আপডেট
কক্সবাজারে স্বৈরাচারের ‘দোসর’ সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদগঞ্জে একই ব্যক্তির সরকারি চাকরিতে বয়স ৫১, মুক্তিযোদ্ধা ভাতায় ৭১! আগের দিন অভিযোগ, পরদিন প্রত্যাহার, ৮৮ দিনে পদোন্নতি ফরিদপুরের সাবেক টিআই দম্পতির আরও সোয়া ৭ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ অবৈধভাবে শতকোটি টাকার মালিক, এসপি শাহজাহানের বক্তব্য জানতে চায় দুদক রাজশাহীতে ২৩ হাজার ৫শ ১০ জন শিক্ষার্থীকে এ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করল তরফদার, বিজয় নিশ্চিত ইমরুলের পুলিশের থাকা-খাওয়ার মান সন্তোষজনক নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কত ক্ষমতা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের, প্রশ্ন তাসরিফের শিক্ষা বোর্ডে পাথর-লাঠি-কাঠ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
ঘোড়াঘাট ইউএনওকে হত্যার চেষ্টা, মামলার রায় ৪ অক্টোবর

ঘোড়াঘাট ইউএনওকে হত্যার চেষ্টা, মামলার রায় ৪ অক্টোবর

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ৪ অক্টোবর ঘোষণার কথা রয়েছে। দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। পরে বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। মামলাটি প্রথম থেকে মোট ৬১ কার্য দিবস পরিচালনা করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম থেকে মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু মামলাটি শেষের দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে স্থানান্তর হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। মামলাটিতে সর্বমোট ৫৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখাস্ত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টার যোগে ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।

২০ সেপ্টেম্বর তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের এজলাসে উপস্থিত করা হলে তিনি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২১ নভেম্বর দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ইমাম জাফর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |