মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
দেবীগঞ্জে গনঅধিকার পরিষদের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটলে দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে: সাভারে রিজভী  কুলিয়ারচরে প্রধান শিক্ষকের সাথে বেতন বৈষম্য সহকারী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন সৌমিত্র শেখরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের চিঠি মুরাদনগরে উপজেলায় জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে কিশোরীদের এইচপিভি টিকা প্রদান গোপালপুরে ১৪’শ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক ময়মনসিংহে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা নালিতাবাড়ীতে গারো পাহাড়ের ঢাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি সদস্যদের অপসারণ না করার দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করা হারুন মেম্বার গ্রেপ্তার
বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারহীনতার কালচার থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করেছে আজ তাদের মুখে ভোট, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। অথচ যার কারণে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আইন করা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্টের কালরাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, আজকে তো অনেক মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কেউ মারা গেলে বিচার চাওয়া হয়। আমরা কী অপরাধ করেছিলাম? ১৫ আগস্ট আমরা যারা অপনজন হারিয়েছি আমাদের অপরাধটা কোথায় ছিল?

তিনি বলেন, একজন সেনাপ্রধান হিসেবে সে (জিয়াউর রহমান) দায়িত্ব নিল। কখন? যখন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হলো এবং অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়া হলো। তাদের মুখে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের কথা শুনতে হয়, মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়! সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের ধারণা শেখার কিছু নেই। তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোট ও মানবাধিকারের কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।

শেখ রাসেলের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন সেনা সদস্যদের দেখত, তখন সেও বড় হয়ে সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুর জন্য চকোলেট-বিস্কুট নিয়ে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা গেছে। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আরো এগিয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |