মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০০টি সেতু উদ্বোধনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন, এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা ১০০টি সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে পারবো। আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুগুলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন এবং বিপণন ও দ্রুত এবং সহজ হবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে, কারণ, এগুলো ৩৩টি রুট ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে, যা, সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ করবে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে সাতটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়টি এবং রংপুর বিভাগে তিনটি রয়েছে।
এসময় গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সুনামগঞ্জ, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রান্ত যুক্ত ছিল।
সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় প্রধানমন্ত্রী চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেনকে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা এবং বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির যে আশংকা করা হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে সাশ্রয়ী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যায়ী হবার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোতে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় আপনারা যত পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। তরি-তরকারি যেটা পারেন উৎপাদন করবেন, হাঁস মুরগি ছাগল, ভেড়া- যেটা পারেন সেটা পালন করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের খাদ্য সংস্থান নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা, বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে এর ধাক্কা যেন বাংলাদেশকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। তিনি বলেন, এই আঘাতটা আসবেই, কারণ, বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই, কোনো জায়গায় একটা সমস্যা দেখা দিলে এর অভিঘাতটা বাংলাদেশেও এসে পড়ে। পাশাপাশি, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়াতে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে খুৃবই সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, দেশের উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা সৃষ্টি করেছি সেটা ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ান। আর যেসব জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে সেসব এলাকায় ঘর-বাড়ি এবং চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন এবং মশারি টানিয়ে ঘুমাতে যান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। অনুষ্ঠানে সেতুর ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।