বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

জিয়াই বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী মাষ্টারমাইন্ড—–মির্জা আজম এমপি

জিয়াই বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী মাষ্টারমাইন্ড—–মির্জা আজম এমপি

জালাল উদ্দিন ভিকু,  মানিকগঞ্জ : 
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন জিয়াই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী মাষ্টার মাইন্ড। তারই খুনী ছেলে তারেক জিয়া ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট ১৪ টি গ্রেনেট মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ওইদিন আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকমী নিহত হয় এবং পঙ্গু হয় অনেক নেতাকর্মী। তিনি সোমবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা শাখা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলহাজ¦ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ¦ জাহিদ মালেক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ সস্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহবুদ্দিন ফরাজী। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো। প্রধান অতিথি বলেন, বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের পিতা ছিল একজন ঠাকুরগায়ের এক নম্বর কুখ্যাত রাজাকার। রাজাকারে ছেলে নাকি ১০ ডিসেম্বর রাজাকারদের নিয়ে ঢাকার শহরে খেলা দেখাবে।

যারা দেশ বিরোধী ও রাজাকার ছিল তারাইতো বিএনপি করে। ওইদিন আওয়ামীলীগও মাঠে থাকব। জিয়াউরি রহমান ১১ নম্বরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। জিয়া ক্ষমতায় আনার পর ১১ হাজার যুদ্ধঅপরাধীদের মুক্ত করে দিয়েছিল। পাকিস্থানের নাগরিক গোলাম আযমকে বহু দলীয় রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নামসহ জয়বাংলা শ্লোগান বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকায় প্রতিদিন কারফিউ জারী করে অনেক সেনা কর্মকর্তা ও ১৩ শত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। মির্জা আজম এমপি বলেন, খুনি জিয়াই জামায়াতের কুখ্যাত রাজাকারদের দেশে আসার সুযোগ করে দিয়ে তারই স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ওই রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে সংসদে মন্ত্রী এমপি করে আওয়ামীলীগকে দেশ থেকে বিতারিত করতে চেয়েছিল। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ওই রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে এ দেশের মাটিতে তাদের বিচার করা হয়েছে।

বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ¦ জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই। তারা আওয়ামীলীগকে ঠুনকো দল মনে করে যে ধাক্কা দিলেই পরে যাবে। আওয়ামীলীগ ঠুনকোদল নয় আওয়ামীলীগ হিমালয় পর্বতের মতো উচু। বিএনপির এমপি মন্ত্রীরা ৪০ বছর ক্ষমতায় ছিল। একটি উন্নয়ন করতে পারেনি। তারাই আবার ধাক্কা দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় থেকে সরিয়ে দিতে চাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে পদ্ম সেতু হতো না। ঢাকার মেট্রো রেল হতো না। ফ্লাইওভার হতো না। দেশের উন্নয়ন হতো না। রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতো না। শেখ হাসিনা আছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। তারদল আওয়ামীলীগই দেশের উন্নয়ন করতে পারে। তাই তিনি আবার নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান করেন। প্রধান অতিথি মির্জা আজম সাটুরিয়া উপজেলার তিন বছরের জন্য আলহাজ¦ ফজলুর রহমানকে সভাপতি ও মো. আফাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |