বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

গোলাপবাগ মাঠে জায়গা নাপেয়ে রাস্তায় নেতাকর্মীদের অবস্থান

গোলাপবাগ মাঠে জায়গা নাপেয়ে রাস্তায় নেতাকর্মীদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গোলাপবাগ মাঠের দিকে আসতে দেখা যায়। দুপুর নাগাদ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

তবে মাঠে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কগুলোতে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর-মুগদা অঞ্চলের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। সমাবেশস্থলে জায়গা না হওয়ায় কর্মী-সমর্থকরা মুগদা মানিকনগর কমলাপুর অঞ্চলের সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন। তবে যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ অঞ্চলে তাদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ওই অঞ্চল অনেকখানিই ফাঁকা রয়েছে।

বহু নাটকীয়তার পর রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। ২৬ শর্তে এ সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। শনিবার বেলা ১১টার আগেই শুরু হয় এ বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগে গতকাল শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর পরই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় মাঠ। মাঠে জায়গা না হওয়ায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা গোলাপবাগ মানিকনগর অঞ্চলের রাস্তায় অবস্থান নেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে মানিকনগর কমলাপুর মুগদা অঞ্চলের রাস্তায় নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়।

সমাবেশস্থলের সামনের সড়কে কথা হয় ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান শাহিনুর মল্লিক জীবনের সাথে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের এ সমাবেশ করতে দিতে চাইনি। কিন্তু আমাদের কর্মীরা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমাবেশে ছুটে এসেছেন। মাঠে জায়গা না হওয়ায় লাখো মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।

কমলাপুর, মানিকনগরের সড়কের পাশাপাশি সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কেও অবস্থান নিয়েছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। সমাবেশস্থল থেকে মাইকে ভেসে আসা নেতাদের বক্তব্য সড়কে বসেই শুনছেন তারা। সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেওয়া রিয়াজ আহমেদ নামের একজন বলেন, আমি উত্তরা থেকে এসেছি, পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থন করি। অনেকদিন পর বিএনপির এতো বড় সমাবেশ দেখছি। ঢাকায় বিএনপির এতো বড় সমাবেশ আমি আর দেখিনি।

তিনি বলেন, সরকার এ সমাবেশ বানচালের অনেক চেষ্টা করেছে। নয়াপল্টনে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা পল্টনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এখন গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ হচ্ছে। স্থান পরিবর্তন করেও লোকসমাগম ঠেকানো যায়নি। আমি মনে করি এ সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে। মুগদা, কমলাপুর, মানিকনগর অঞ্চলের রাস্তায় বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান নিতে দেখা গেলেও যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ জনপথ অঞ্চলে তাদের আনাগোনা ছিল কম। এ অঞ্চলে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে।

এদিন সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের। একই সঙ্গে অঞ্চলটিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |