শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রসহ জেলা যুবলীগ নেতা গ্রেফতার আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে, মধ্যরাতে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মিছিল ফুলবাড়িয়ায় সাবেক এমপি-ওসি-মেয়রসহ ১৮৫ জনকে আসামি করে মামলা দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে সাবেক স্ত্রীর হামলা আহত ৩ দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ ‘ইমানদার এসআই রফিকুলের আজ চতুর্থ দফায় দলগুলোর সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা এমপি হওয়ার পথ ধরে এগিয়েছেন মন্ত্রিত্বের পথে, আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড় গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলা, ২১ নারীসহ নিহত ৩৩ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেপ্তার আজ চতুর্থ দফা সংলাপের বসছেন প্রধান উপদেষ্টা, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
জয়পুরহাটে অনাবাদি ও পতিত জমিতে দোল খাচ্ছে সজিনা

জয়পুরহাটে অনাবাদি ও পতিত জমিতে দোল খাচ্ছে সজিনা

শাহাদুল ইসলাম সাজু, জয়পুরহাট

সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে অনাবাদি, পতিত জমি ও রাস্তার দুপাশে লাগানো সজনার গাছ গুলো। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে পুষ্টির পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন জেলার কৃষকরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় , জয়পুরহাট জেলায় এবার ২ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭ শ মেট্রিক টন। সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারোমাসি সজিনার চাষ হচ্ছে।

এ ছাড়াও কালাই উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অকৃষি বা পতিত জমিতে হাইব্রিড, বারোমাসি ও দেশী জাতের সজিনার চাষ হচ্ছে। বসতবাড়ির আশে পাশে, পুকুর পাড়ে, ছাদে ও হাসপাতাল, স্কুল, কলেজের মাঠে এবং রাস্তার দু’পাশে অকৃষি বা পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতিয় সবজি সজিনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে । জেলায় পুষ্টিগুণে ভরা সাজনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । এখানকার সজিনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে বলে জানান স্থানিয় কৃষক নাজমুল হোসেন। এ ছাড়া পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে সজিনা বিক্রি করে অনেকেই অর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ওঠা প্রথম দিকে আগাম জাতের ও বারোমাসি সজিনা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি । সজিনা চাষ ইতোমধ্যেই অর্থকরি ফসল হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার সজিনা বাম্পার ফলন হবে বলে আশ করছেন এলাকার সজিনা চাষীরা। সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজিনা চাষী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ীর সমনে রাস্তার দু’ধারে ১০টি সজিনার গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ৮ মণ সজিনা বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি এবারও সজিনার বাম্পার ফলন পাব। বাজারে প্রথম দিকে ২শ টাকা কেজি সজিনা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী। তাছাড়া সজিনার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, সজিনা একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। এটি বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। সজিনা চাষে তেমন খরচ লাগে না। বাজারে দামও ভাল পাওয়া যায়। সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে । একটু পরিচর্যা করলেই অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |