শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে, মধ্যরাতে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মিছিল ফুলবাড়িয়ায় সাবেক এমপি-ওসি-মেয়রসহ ১৮৫ জনকে আসামি করে মামলা দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে সাবেক স্ত্রীর হামলা আহত ৩ দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ ‘ইমানদার এসআই রফিকুলের আজ চতুর্থ দফায় দলগুলোর সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা এমপি হওয়ার পথ ধরে এগিয়েছেন মন্ত্রিত্বের পথে, আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড় গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলা, ২১ নারীসহ নিহত ৩৩ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেপ্তার আজ চতুর্থ দফা সংলাপের বসছেন প্রধান উপদেষ্টা, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
সজনার এবার বাম্পার ফলন জয়পুরহাটের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

সজনার এবার বাম্পার ফলন জয়পুরহাটের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

শাহাদুল ইসলাম সাজু, জয়পুরহাট 
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জেলায় এবার সজনার বাম্পার ফলন হয়েছে। জয়পুরহাটের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জয়পুরহাট জেলায় এবার ২ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে সজনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭ শ মেট্রিক টন। জেলার পাঁচ উপজেলাতেই বিশেষ করে সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই, ধরঞ্জি, বাগজানা, মোহাম্মদপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সাধারণ চৈতালি সজনার পাশাপাশি বারোমাসি সজনার ও চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও কালাই উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অকৃষি বা পতিত জমিতে হাইব্রিড, বারোমাসি ও দেশী জাতের সজনার চাষ হচ্ছে। বসতবাড়ির আশে পাশে, পুকুর পাড়ে, ছাদে ও হাসপাতাল, স্কুল, কলেজের মাঠে এবং রাস্তার দু’পাশে অকৃষি বা পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতিয় সজনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে ন্যুয়ে পড়েছে ।

জেলায় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সজনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । এখানকার সজনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে বলে জানান স্থানিয় কৃষক নাজমুল হোসেন। নতুনহাটের পাইকারী ক্রেতা আইয়ুব আলী জানান, জয়পুরহাটের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ নাটোর, খুলনা, চূয়াডাঙ্গা, যশোর, ভোলা জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি সজনা বিক্রি করে অনেকেই অর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ওঠা প্রথম দিকে আগাম জাতের ও বারোমাসি সজনা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও পরবর্তিতে কমতে কমতে বর্তমানেও বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি । এবার সজনার ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি।

সজনা চাষ ইতোমধ্যেই অর্থকরি ফসল হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না থাকায় এবার সজিনা বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজনা চাষী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ীর সমনে রাস্তার দু’ধারে ১৫টি সজিনার গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ৮ মণ সজনা পেলেও এবার ৯ মন সজনা বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। এবার সজিনার বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি বলে জানান তিনি। জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, সজনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর একটি ডাটা জাতীয় সবজি। সজনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহে কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজনা উচ্চরক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস জনিত রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। তা ছাড়া সজনার পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। এটিও প্রচুর পুষ্টি গুণাগুন সমৃদ্ধ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, সজনা একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। এবার জয়পুরহাটে সজনার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এটি বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। সজনা চাষে তেমন খরচ লাগে না। বাজারে দামও ভাল পাওয়া যায়। সজনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে । একটু পরিচর্যা করলেই অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |