শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

আপডেট
জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে কুরআনের আয়াত পড়ে বক্তব্য দিলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ পবিবর্তনে হাল ধরতে হবে: মাসুদুর রহমান কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা  টঙ্গীতে বিএনপির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন পূর্বধলার শিবপুরে কৃষক রবিকুল হত্যার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন জয়পুরহাটে সিআরডি স্কুলের বিজ্ঞান ও গণিত মেলা অনুষ্ঠিত সন্তানের নামে ট্যাটু আঁকার পর ভিনিসিয়াস জানলেন, তিনি বাবা নন হালুয়াঘাটে ভারতীয় মদসহ আটক ১ সোনারগাঁ বাসের ধাক্কায় বাস উল্টে আহত ১৫ নাগাইশ দরবার শরীফের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত 
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ড

সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী খালাস পেয়েছেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আক্তারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রেদোয়ান আহমেদ পলাতক আছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম।

২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় রেদোয়ান আহমেদ ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায়, তার চার শতাংশ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়। এর পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংকের মগবাজার শাখায় একটি হিসাব আছে।

২০০২ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন অর্থ সচিব শাহ আলম এ অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এর পর উচ্চ আদালতে যান রেদোয়ান আহমেদ। ফলে, দীর্ঘদিন মামলাটির বিচার বন্ধ থাকে। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট এক আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |