শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ডিসি-ইউএনওদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব স্থগিত

ডিসি-ইউএনওদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব স্থগিত

ডিসি

নিজস্ব  প্রতিবেদক:  জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২৬১টি গাড়ি (জিপ) কেনার প্রস্তাব স্থগিত করা হয়েছে। নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। একই সঙ্গে তিনটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সেসবের জবাব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ডলার-সংকটের কারণে নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেসব পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে, তাতে নতুন গাড়ি কেনার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব মনে হয়নি। ফলে নির্বাচনের আগে ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন গাড়ি কেনা আর সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: মতিঝিলে মেট্রোরেল চলাচলে উপচেপড়া ভিড়, বাড়ল সময়

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাবটি স্থগিত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (৬ নভেম্বর) অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ডিসি-ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব স্থগিত হয়েছে।গত ১১ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ডিসি-ইউএনওদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দেয়া হয়। ২৬১টি গাড়ির প্রতিটির দাম ধরা হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে সরকারের ব্যয় হওয়ার কথা ৩৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এ সিদ্ধান্তের তথ্য জানিয়েছিলেন। ৫০ কোটি টাকার ওপরে হওয়ায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়।

একই সঙ্গে তিনটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সেসবের জবাব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথমত, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কেনা গাড়িগুলোর সবশেষ অবস্থা কী? দ্বিতীয়ত, ডিসি-ইউএনওদের জন্য প্রতিটি গাড়ির দাম ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে কোন মানদণ্ডে? তৃতীয়ত, মাঠ প্রশাসনে এখন কতটি গাড়ি আছে, সেগুলোর সবশেষ অবস্থা কী? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাধারণত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কোনো প্রস্তাব নীতিগতভাবে পাস হওয়ার পর তা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর তা ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হয়। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে ওঠার আগে গাড়ি কেনার প্রস্তাবটি স্তগিত হয়ে গেল। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে সরকারি খাতে গাড়ি কেনা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ গ্রহণের নীতি জারি করে সরকার। যা চলতি অর্থবছরেও বহাল রাখা হয়েছে।

 

প্রতিদিনের কাগজ

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |