শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ভৈরবে পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন

ভৈরবে পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন

পলিনেট

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব : উচ্ছতাপ অতিবৃষ্টি আর ভাইরাস জনিত নানাবিধ সমস্যার কারণে চারা উৎপাদনে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্মান করা হয়েছে পলিনেট হাউস । গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী পাড়াতলা গ্রামে দশ শতক যায়গার উপর এ পলিনেট হাউস নির্মিত হয়। শফিকুল ইসলাম নামে কৃষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে য়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের অর্থায়নে পলিনেট হাউসটি নির্মান হয়। পলিনেট হাউসের উৎপাদিত চারার সুফল পাওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে এমনটাই বলছেন চাষিরা।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় সবজি উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা দুর করে আধুনিক পদ্ধতিতে পলিনেট হাউসের মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি। যা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী বøকের কৃষক শফিকুল ইসলামের দশ শতক জমির উপর নির্মিত হয়েছে পলিনেট হাউস। ভৈরবে উচ্ছ মূল্যের ফসলগুলোর মধ্যে ফুলকপি, বাধাকপি,টমেটো, শিম, লাউ, কাচা মরিচসহ আরো কিছু সবজির চারাগুলো ভৈরবে পাশ^বর্তী জেলা উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতো কৃষকরা। এসকল চারাগুলো গুনগত মান খূব একটা ভাল হতোনা। জমিতে চারা রোপনের পর অধিকাংশ চারাই নষ্ট হয়ে যেত। এখানে পলিনেট হাউস হওয়ায় এখন ভৈরবের কৃষকদের বাহির এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করতে হয়না। পলি হাউসের জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত কম দামে শূন্দর ও সুস্থ সবল চারা কিনতে পারছেন।

আধুনিক পদ্ধতিতে পলিথিন ও নেট দিয়ে তৈরি ঘরে বারমাসি সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। পলিনেট হাউসে মাটির পরিবর্তে নারিকেলের ছোবরায় তৈরি কোকোপিটে চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ফলে চারাগুলোতে ভাইরাস ও পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়না। এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের ২০ দিন পর জমিতে রোপণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে কোনো রাসায়নিক বা কীটনাশকের প্রয়োজন নেই। চারােেরাপনের পর সার বা বৃষ্টির পানির প্রয়োজন হয়না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন স্থানিয় ভাবে এখানে পলিনেট হাউস হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে স্থানিয় কৃষকসহ বাহির অঞ।চলের কৃষকরাও। পলিনেট হাউসের উৎপাদিত চারা রেপন করে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে।

সরেজমিনে স্থানিয় কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা প্রতিদিনের কাগজকে জানায়, আগে আমরা ভৈরবের পাশ^বর্তী জেলা উপজেলা থেকে চারা কিনে আনতাম। সেচারাগুলো মান সম্মত ছিলনা। জমিতে রোপনের পর চারাগুলো নষ্ট হয়ে যেত। এখানকার উৎপাদিত চারাগুলোতে সার কীটনাশক ও পানি দিতে হয়না। চারাগুলোও দামে কম ও সুস্থ সবল। তাই আমরা এখন আর অন্য কোথাও থেকে চার সংগ্রহ করিনা। এখানকার উৎপাদিত চারা দিয়েই আমরা চাষাবাদ করি। আধুনিক পদ্ধতির পলিনেট হাউসের চারা এখন অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে।

উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে আমি বিভিন্ন জাতের সবজির চারা উৎপাদন করে নিজের জমিসহ অন্যান্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছি। আমার এখানের চারাগুলেঅতে কোন সার কীটনাশক দিতে হয়না। চারাগুলো যেন ভারাসমুক্ত সুস্থ সবল থাকে সেজন্য আমি সার্বক্ষনিক কৃষি অফিসের পরাসর্শ নিয়ে থাকি। কৃষি অফিসের লোকজনও পলিনেট হাউসটি পরিদর্শন করে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে।

উপ-সহকারি কৃষি অফিসার বায়তুল হক বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের অর্থায়নে কৃষক শফিকুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার দশ শতক জমির উপর নির্মান করা হয়েছে পলিনেট হাউস। এখানে গুনগত মানসম্পন্ন ও রোগবালাই মুক্ত চারা তৈরি করতে এখানে পলিনেট হাউসটি তৈরি করা হয়েছে। কুকোপিঠে চারা তৈরির শুরু থেকেই যতœসহ সার্বিক করণিয়গুলো দেখবাল করতে পলিনেট হাউসে লোক নিয়োগ রয়েছে।

কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম, নিরাপদ ভাবে সবজি উৎপাদনের আধুনিক পদ্ধতির নাম হচ্ছে পলিনেট হাউস। কুকুপিঠের মাধ্যমে চারা উৎপাদিত হওয়ায় চারাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়না। তাই কৃষকরা এখন পলি হাউসের উৎপাদিত চারার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে দিন দিন চারা উৎপাদন ও বেচা বিক্রি বেড়েছে পলি হাউসের। উচ্ছতাপ অতিবৃষ্টি আর ভাইরাস জনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে চারা উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যা আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার গহারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী বøকের কৃষক শফিকুল ইসলামের দশ শতক জমির উপর নির্মিত হয়েছে এ পলিনেট হাউস। উচ্ছ মূল্যের যে ফসলগুলো আবাদ হয় যেমন ফুলকপি, বাধাকপি,টমেটো, শিম, লাউ, কাচা মরিচ এসকল ফসলের চারার জন্য এখানকার কৃষকরা পাশ^বর্তী জেলা উপজেলা থেকে চারা সংগ্রহ করে থাকতো। এখন ভৈরবের কৃষকরা পলি হাউসের জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত কম দামে শূন্দর ও সুস্থ সবল চারা কিনতে পারছেন। এখানকার উৎপাদিত চারাগুলো শুধু ভৈরবেই নয় পাশ^বর্তী জেলা উপজেলায়ও যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |