মো. আব্দুল মান্নান : ভালবেসে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে আলমাছ আলী নামে এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন স্বর্ণা। ২০১৮ সনের ২৮ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। ১ বছর ১০ মাস বয়সী আরাফ নামে একটি বাচ্চাও রয়েছে তাদের। এমতাবস্থায় নারী লোভী আলমাছ রুনা নামে আরেক কুমারীকে বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর থেকে স্বর্ণার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
পরে সহ্য করতে না পেরে যে মা বাবা আত্মীয় স্বজন সম্পদ ধর্ম সব ত্যাগ করে পালিয়েছিলেন স্বর্ণা সেই মা বাবার আশ্রয়ে এসে উঠেন তিনি। তার বাবার বাড়ি ফুলপুরে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাখাই গ্রামের সঞ্জয় দাস ও রিতা রাণী দাসের মেয়ে তিনি। আর আলমাছ একই উপজেলার ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের এসকান্দর আলীর ছেলে। স্বর্ণা যখন ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে পড়তো তখন আলমাছের সাথে তার পরিচয় হয়। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী আলমাছ তাকে দেখতে পারে না এবং ঘর থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে বলে জানায় স্বর্ণা। এমনকি সে কোল থেকে রেখে দেয় তার দুধের শিশু আরাফকেও।
এরপরই নিঃস্ব ও ভাসমান স্বর্ণা নিরুপায় হয়ে মা বাবার আশ্রয়ে এসে উঠেন। এখানে উঠে তাকে মারধর ও নির্যাতনের আলামত দেখালে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা বাবা। এরপর বাবার বাড়ির আত্মীয়রা তাকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে স্বর্ণা নিজে বাদি হয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে তার স্বামী আলমাছ, শ্বশুড় এসকান্দর আলী ও শ্বাশুড়ি সুলতানা বেগম মোট ৩ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার নতুন ওসি আবুল খায়ের সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।