সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

একই সাথে তিন সন্তানের জন্ম, খরচ নিয়ে শংকিত ভ্যান চালক বাবা 

একই সাথে তিন সন্তানের জন্ম, খরচ নিয়ে শংকিত ভ্যান চালক বাবা 

মো. আব্দুল মান্নান :  ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  একইসাথে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রেজাউল নামে এক ভ্যান চালকের স্ত্রী রেহেনা এসব শিশু জন্ম দেন। রেহেনা পেশায় একজন গৃহিণী। আর তার স্বামী রেজাউল একজন ভ্যান চালক। তার বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার কিসমত নড়াইল গ্রামে। মরহুম  হাছেন আলী বাবু ডিলারের বাড়ির পিছনে। জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় প্রথমে তাদের টিনশেড চালা ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরে দ্বিতীয় সন্তানটি খালাস হতে দেরি হওয়ায় ভীত অবস্থায় তারা প্রসূতি রেহেনাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এরপর সকাল সাড়ে ৬টায় এক কন্যা ও ৬টা ৩৫ মিনিটের সময় তৃতীয় সন্তান আরেকটি কন্যার জন্ম হয়। বর্তমানে তাদের ওজন ও স্বাস্থ্য স্বাভাবিক আছে তাই তারা বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানান ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. মো. হুমায়ুন কবীর। এসব শিশুদের নরমাল ডেলিভারিতে দায়িত্ব পালন করেন ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রহিমা খাতুন, আলেয়া পারভিন ও মিড ওয়াইফ উম্মে সালমা।
অসহায় ভ্যান চালক রেজাউলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ৯ বছর বয়সী আরেকজন কন্যা সন্তান রয়েছে। সে কিসমত নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। এ নিয়ে তিনি এখন তিন কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের  জনক। স্ত্রীসহ ৬ সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের প্রধান। তার সর্বসাকুল্যে আধা কাঠা জমি। এর এক পাশে একটি টিনের দু’চালা করে কোনোমতে রাত কাটান তিনি। ভ্যানই হলো তার জীবন নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে রেজাউলের সংসার।
স্ত্রীর চেক আপসহ চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা বাবদ তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে ৬ সদস্যবিশিষ্ট এ পরিবারের খরচ চালানো নিয়ে শংকিত তিনি। এ ব্যাপারে তিনি হৃদয়বানদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।  উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের সীমা আক্তার নামে আরেক প্রসূতি মা এই ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিল্পী পারভীন ও মিড ওয়াইফ মৌসুমী আক্তারের  তত্ত্বাবধানে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |