শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট
রমজানের আগেই দাম বাড়ানোর প্রবণতা

রমজানের আগেই দাম বাড়ানোর প্রবণতা

নিজস্ব  প্রতিবেদক:  মুসলমানদের আত্মসংযমের মাস রমজান। বাঙালিদের মাঝে শবে-বরাতকে কেন্দ্র করে হালুয়া, চালের রুটি ও গরুর মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তনে এসব আয়োজন এখন নেই বললেই চলে। বাজারে পণ্যের দামের যে অবস্থা সেখানে হালুয়া, রুটি আর গরুর মাংসকে এখন বিলাসিতা বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়,সব ধরনের আলুর দাম কিছুটা কমেছে শুধু মাত্র লাল আলু ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সাধারণ আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রসুন ২০০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা, তবে পেঁয়াজের দাম এখনও উর্ধ্বমুখী রয়েছে। নতুন, পুরাতন ও দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকায় আর ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে। শীত চলে গেলেও বাজারে শীতের সবজির এখনও বেশ আমদানি রয়েছে। বাজারে লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ফুলকপি ৪০, গাজর ৩০ টাকা কেজি প্রতি, টমেটো ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৪০, শিম প্রকারভেদে ৪০-৮০ টাকায় আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জানান, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আজকে তরকারির দাম বেশি মনে হচ্ছে। দিন দিন সবকিছু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মাত্র ২১০ টাকায় শিম বেগুন ফুলকপি আর কাঁচামরিচ কিনলাম এ তারকারি দিয়ে একদিনও চলবে না। কিন্তু কিছু করার নাই।’

এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগীর দাম আবারও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, লেয়ার লাল ৩০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগী ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি প্রতি।

মাছের বাজারের চিত্রও আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রুই বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৪০-৩৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০-১৯০ টাকা কেজি, দেশি পোয়া মাছ ৩০০ টাকা কেজি, চান্দা কেজি ২০০ টাকা দরে, বড় চিংড়ি ৭০০, ছোট চিংড়ি ৬০০টাকা, চাপিলা ৩০০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকা, বাইলা ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে মাছের দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, মাছের চাহিদার তুলনায় আমদানি অনেক কম। তবে রমজানের প্রথম দিকে দাম একটু বেশি থাকার আশঙ্কা তার। তাই ক্রেতাদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন বেশি চাপ না নিয়ে যতোটা প্রয়োজন যতোটুকু ক্রয় করুন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |