শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

নির্যাতিত সাংবাদিক ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চান সাংবাদিক নেতা রফিক

নির্যাতিত সাংবাদিক ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চান সাংবাদিক নেতা রফিক

 মো. আব্দুল মান্নান : দেশের যে কোন জায়গায় নির্যাতিত নিপীড়িত সাংবাদিক ও গরিব দুঃখি, এতিম অনাথ, অসহায় মানুষের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চান দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বর্তমানে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রধান সম্পাদক কেন্দুয়ার কৃতি সন্তান মো. খায়রুল আলম রফিক। গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার সাথে একটি নিউজের তথ্য সংগ্রহ করতে এক জায়গায় সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে কাজের ফাঁকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদকের সাথে তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশের যে কোন জায়গায় অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হলে তা জীবন থাকতে বরদাশত করা হবে না। এছাড়া এতিম অসহায় হত দরিদ্র মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান তিনি।

এ বিষয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক। উনার সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় অসহায়দের তিনি ১১টি ঘর করে দিয়েছেন। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে এ পর্যন্ত ৮২টি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। টিউবওয়েল বিতরণ করেছেন ১৭৯টি ও কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভৈয়ারকোণা জামে মসজিদে এবং গৌরীপুরের রামগোপালপুর জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ৪টি সাব-মারসিবল করে দিয়েছেন। সারাদেশে আহত ও খুন হওয়া ৩৩ সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই সাংবাদিক নেতা মো. খায়রুল আলম রফিক। নিজ অর্থায়নে তিনি তাদের আইসিটি মামলা থেকে ৬৫ জনকে জামিন করিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ জন এতিম মেয়েকে তিনি বিয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। প্রতিবন্ধী ও শিকলে বাঁধা ২৫ জন অসহায় মানুষকে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ড ফেইসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার পর থেকে তাকে কেউ কেউ মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধি প্রদান করেছেন। সাংবাদিকসহ যে কোন নির্যাতিত মানুষের খবর পেলেই তিনি সেখানে ছুটে যান এবং তাদের পাশে দাঁড়ান। জানা যায়, তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমানের সহযোগিতায় তিনি এতিম মর্জিনাকে বিয়ে দিয়েছিলেন এবং ওই বিয়েতে জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমানকে এতিম মর্জিনার উকিল বাবা বানানো হয়।

এরপর থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাদেরকে নিজ সন্তানের মত দেখাশুনা করে আসছেন। সম্প্রতি তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সাবেক ওই জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব । এখন ওরা সুখেই দিনযাপন করছে। জানা যায়, কুখ্যাত ওসি প্রদীপ কর্তৃক কক্সবাজারের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান মিথ্যা ও সাজানো ৭টি অস্ত্র মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে কারামুক্ত করতে প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন খায়রুল আলম রফিক। এরপরে দেশজুড়ে আরও নানা নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন এই সাংবাদিক নেতা খায়রুল আলম রফিক। ওই আন্দোলনের খবর দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সারা দেশে সাংবাদিকদের নামে মামলা হামলা হলে প্রথমেই তাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমার গুরু দৈনিক আমাদের কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদ, চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন ভাইকে সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশে কাজ শুরু করেছি। দেশের যে কোন জায়গায় অন্যায়ভাবে সাংবাদিক নির্যাতন করা হলে তা জীবন থাকতে বরদাশত করা হবে না। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |