রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
সরেজমিনে গেলে হারামিয়া ইউনিয়নের বক্তারহাট বাজারের কামার খড়ের ছাউনি ঘেরা দোকানদার কালাচাঁন মজুমদার বলেন, বছর ২৫ আগেও আমাদের বাড়ীর সবকয়টি ঘর খড় ছাউনির ছিল। আমার জানামতে আর কোন খড়ের দোকান নেই। আধুনিকতার ছোঁয়ায এখন সব দোকানঘর দালান বা টিনের হয়ে গেছে। শীত ও গরমে উভয় দিনে ছন বা খড়ের ছাউনির ঘর বেশ আরামদায়ক। এছাড়াও বছর বছর খড় পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে অনেকে খড়ের ঘরকে ঝামেলা মনে করেন।একারণে খড়ের ছাউনির ঘরের সংখ্যা কমে গেছে। তীব্র তাপদাহ শুরু হলে বা লোডশেডিং হলে মানুষ খড়ের ঘরের আরামদায়কের কথা রূপকথার মতো গল্প করে।এক সময় পুরোপুরি হয়ত মুছেও যাবে খড়ের ছাউনি ঘর। ভুলে যাবে গ্রাম বাংলার এসি ঘরের কথা !
মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে। কালাচাঁনরা হয়ত কামার হিসেবে ধরে রাখবে গ্রাম -বাংলার এ খড়ের শিল্পকে।