রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
জাহিদুল ইসলাম শেখ, রাজবাড়ী রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মতব্বার পড়ায় নাজমা কবিরাজের পানি পড়ায় রানু ও নুরুজ্জামান দম্পতির জীবনে তাদের ঘরে এসেছে ফুটফুটে এক ছেলে ছেলে সন্তান, রানু আক্তার ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখার হাট এলাকার নুরুজ্জামান এর স্ত্রী। তাদের ঘরে ১৫ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর আর কোন সন্তান হয়নি। রবিবার সকালে সরজমিনে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সন্তান কোলে নিয়ে মা রানু আক্তার ঢাক ঢোলক পিটিয়ে একটি খাসি ও মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে কবিরাজের বাড়িতে হাজির হয়েছেন।
এই নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঢাক ঢোলক পিটিয়ে খাসি হাতে এবং মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে নাচতে নাচতে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে আসেন তারা। এ সময় তাদেরকে দেখতে শত শত মানুষের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির মা রানু আক্তার জানান, আমার স্বামী নুরুজ্জামান আগে ছিলো প্রবাসে এখন এয়ারপোর্টে চাকরি করেন। আমাদের ঘরে ১৫ বছর আগে একটি মেয়ে সন্তান হয়। এরপর ১৫ বছরের মধ্যে আর কোন সন্তান জন্ম নেয় না। এ নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই।
অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। ডাক্তারগণ বলেছেন বাচ্চা কনসেপ্টের আমার দুইটি টিউব ব্লক হয়ে গেছে। আমি আর বাচ্চা প্রসব করতে পারবো না। এইকথা শুনে আমি একেবারেই ভেঙে পরি। এরপর আমার মায়ের পরামর্শে আমি নাজমা কবিরাজ এর কাছে আসি। তিনি পানি পড়া দেন এবং। দুই বছরের চিকিৎসা নেই নাজমা কবিরাজের কাছ থেকে। এরপরে কোলজুড়ে আমাদের এই ছেলে শিশু জন্ম নেয়। শিশুর ৭ মাস পূর্ণ হল। শিশুর মুখে চিনি দিতে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
এই বিষয়ে কবিরাজ নাজমা জানান, আমার কাছে জ্বীন রয়েছে। আমি জ্বীনের দ্বারা মানুষকে সেবা দিয়ে থাকি। রানুকে আমি বলেছিলাম তোর বাচ্চা হবে। আল্লাহ কবুল করে নিয়েছে। আমার চিকিৎসার মাধ্যমে ওর বাচ্চা হয়েছে। আমি অনেক খুশি। এই বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আমরা শুনেছি নাজমা একজন কবিরাজ । আজ প্রমান পেয়েছি তার চিকিৎসার মাধ্যমে এক মায়ের দীর্ঘদিন পর পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে।